শুক্রবার, ০৩ মে ২০২৪, ০৩:৪৬ অপরাহ্ন
সুন্দরগঞ্জ প্রতিনিধিঃ দিবস আসলেই শুরু হয় পরিষ্কার, পরিছন্নতা, সংস্কার, মেরামত ও রঙ তুলির কাজ। এর আগে বা পরে কেউ মনে রাখে না শহীদ মিনার ও বদ্ধ ভুমির কথা। আর মাত্র দুদিন বাকী ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস। ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পুর্ণ করা হয়েছে। চলছে পরিষ্কার, রঙ লাগানো, মেরামত ও সংস্কারের কাজ। গতকাল সোমবার পৌর মেয়র আব্দুর রশিদ রেজা সরকার ডাবলুর তত্ত্বাবধানে উপজেলার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও বদ্ধভূমি চত্বর পরিষ্কার করছে পরিছন্নতাকর্মীগণ। মেয়র বলেন, আজ বুদ্ধিজীবী দিবস ও ১৬ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও রাজনৈতিক সংগঠন সমুহ শহীদ মিনার চত্বরে আসবেন। সে কারণে পরিষ্কার ও পরিছন্নতা করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে কোন প্রকার বাউন্ডারী না থাকায় সংরক্ষণ করা দূরহ্ ব্যাপার হয়ে দাড়িয়েছে। এদিকে বিভিন্ন সরকারি বে-সরকারি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকায় পতাকা স্টার্ন্ডের মধ্যেই পূস্প্যমাল্য অর্পণ করে আসছে। অনেক শহীদ মিনার মেরামতের অভাবে ব্যবহারের অনুপযোগি হয়ে পড়েছে। নাম প্রকাশ না করা শর্তে একজন প্রতিষ্ঠান প্রধান জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সমুহে প্রতিবছর মেরামতের জন্য বরাদ্দ প্রদান করে। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কোন প্রকার বরাদ্দ প্রদান করা হয় না। যার কারণে বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমুহের বেহাল দশা। অপরদিকে বিজয় দিবস উপলক্ষে নতুন পতাকা কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে দোকান গুলোতে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম জানান, প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা একান্ত প্রয়োজন। শিক্ষার্থীদের ইতিহাস জানানোটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। উপজেলা শিক্ষা অফিসার এ কে এম হারুন-আর-রশিদ জানান কমবেশি প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার রয়েছে। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মাহমুদ হোসেন মন্ডল জানান, বেশ কিছু শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই। কিন্তু তারপরও বিকল্প ব্যবস্থা করে দিবস সমুহ পালন করা হয়। উপজেলা নিবার্হী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, দ্রুত সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নির্মানের ব্যবস্থা করা হবে।
Thank you for reading this post, don't forget to subscribe!